প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন নির্বাচনে মাঠে নামেন ৫ জন প্রার্থী। এরমধ্যে চার জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. এমদাদুল হক সোহাগ (কাপপিরিচ), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল (টেলিফোন), মো. মতিয়ার রহমান মতি (মোটরসাইকেল), ও মো. রাশেদ শমশের (হেলিকপ্টার)। বুধবার প্রথম ধাপে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শিবলী নোমানী। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪২ হাজার ৬৭৫। তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মো. মতিয়ার রহমান মতি মোটরসাইকেল প্রতিকে ৫ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে তিনি জামানত হারাচ্ছেন।
মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল টেলিফোনে প্রতিকে ৪ হাজার ৮১৮ ভোট পেয়ে তিনিও জামানত হারাচ্ছেন। কাপপিরিচ প্রতিকে মো. ইমদাদুল হক সোহাগ ৩ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন। এছাড়া মো. রাশেদ শমশের হেলিকপ্টার প্রতিকে ৩ হাজার ৫১৯ ভোট পেয়ে তিনিও জামানত হারাচ্ছেন। এবার নির্বাচন কমিশনে প্রার্থী হওয়ার জন্য জামানত দিতে হয়েছে চেয়ারম্যান পদে এক লাখ টাকা।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রশিদুল ইসলাম জানান, এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ছিল ৯১টি। কালীগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৪ জন। এর মধে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ৩২৯ জন, মহিলা ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৫৯২ জন, তৃতীয় লিঙ্গের ৩ জন। ভোট পড়েছে ৬৩ হাজার ১১৬টি। অর্থাৎ ভোট পড়েছে মাত্র ২৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দিতাকারী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম হয় তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। হিসাব করে দেখা গেছে, প্রদত্ত মোট ভোট ৬৩ হাজার ১১৬ এর ১৫ শতাংশ ভোট দাঁড়ায় ৯ হাজার ৪৬৭। সেই ক্ষেত্রে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারাচ্ছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন